জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা তথা অবমাননায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, গত কয়েকদিন ধরে সাম্প্রদায়িক উগ্র মৌলবাদী ও জঙ্গীগোষ্ঠী ভাস্কর্য শিল্পের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে আমাদের দেশের সরল ধর্মপ্রাণ মানুষদের বিভ্রান্তিতে ফেলে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদের দোসররা কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে যা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল এবং আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তারা বিবৃতিতে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননাকারীদেরকে উপযুক্ত শাস্তির পাশাপাশি ভাস্কর্য শিল্পের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থানকারী একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর উগ্রমৌলবাদী চক্রের আস্ফালন বন্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিয়ে মৌলবাদীদের উৎস মূল উৎপাটনের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা মুক্তিযোদ্ধারা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে উপযুক্ত দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত আছি।’
বিবৃতিদাতা খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- কমোডোর এ ডব্লিউ চৌধুরী,বীর উত্তম ও বীর বিক্রম; ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ,বীর উত্তম; সাবমেরিনার মো. বদিউল আলম, বীর উত্তম; মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম; মো. শাহজাহান সিদ্দিকী, বীর বিক্রম; মেজর এটিএম হামিদুল হোসেন, বীর বিক্রম; অনারারি ক্যাপ্টেন আবদুল হক, বীর বিক্রম; মেজর জেনারেল এম হারুন-অর-রশিদ, বীর প্রতীক; মেজর জেনারেল জামিল উদ্দিন আহসান, বীর প্রতীক; লে. কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক।
এ ছাড়াও রয়েছেন- আলহাজ্ব মো. শাহজাহান কবির, বীর প্রতীক; ক্যাপ্টেন কাজী আবদুস সাত্তার, বীর প্রতীক; মো. মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, বীর প্রতীক; মো. আনোয়ার হোসেন, বীর প্রতীক; মো. খোরেশদে আলম, বীর প্রতীক; বাহার উদ্দিন রেজা, বীর প্রতীক; মাহবুব এলাহী রঞ্জু, বীর প্রতীক; গোলাম আজাদ, বীর প্রতীক; মো. রফিকুল ইসলাম, বীর প্রতীক; মো. আজাদ আলী, বীর প্রতীক; মো. মতিউর রহমান, বীর প্রতীক; আনিসুর রহমান, বীর প্রতীক; মো. মহসীন আলী সরদার, বীর প্রতীক।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- কে এস এ মহিউদ্দিন মানিক, বীর প্রতীক; আলহাজ্ব এম এ হালিম,বীর প্রতীক; মো. ইদ্রিস আলী, বীর প্রতীক; মো. আবদুল মজিদ, বীর প্রতীক; এ কে এম রফিকুল হক, বীর প্রতীক; সৈয়দ রেজওয়ান আলী, বীর প্রতীক; দেলোয়ার হোসেন, বীর প্রতীক; মেজর ওয়াকার হাসান, বীর প্রতীক; কাজী জয়নাল আবেদীন, বীর প্রতীক; শেখ আবদুল মান্নান, বীর প্রতীক; মো. হাবিবুর রহমান, বীর প্রতীক; মো. নুরুল হক, বীর প্রতীক; মো. বজলুল মাহমুদ, বীর প্রতীক; নুর উদ্দিন আহমদ, বীর প্রতীক এবং রতন আলী শরীফ, বীর প্রতীক।
Discussion about this post