মুক্তিযোদ্ধা নিউজের পক্ষ থেকে আমি সরাসরি ডাক্তার সাইদা শওকত জেনি এ্যাসোসিয়েটস প্রফেসর রেডিওলোজি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল। তারসাথে কথা বলেছি। তার কাছে জানতে চাইলাম ঐ দিনের মূল ঘটনা কি ছিল।
ডাঃ জেনি বললেন। প্রতিদিনের মতো ঐ দিন তিনি কর্তব্য শেষে ফিরছিলেন। সতের তারিখ অর্থাৎ ঘঠনার আগের দিন তিনি তার গাড়িতে আইডি হিসেবে একটি প্রত্যয়নপত্র পরিচালক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেন। তৎসহ গাড়িতে হাসপাতালের লোগো সহ প্রিন্টেড স্টিকার ছিল। তার এ্যাপ্রনে এ্যামবব্রয়ডারি করা হাসপাতালের লোগো সম্বলিত তার নাম ছিল।
রাস্তা দিয়ে গাড়িটি যাবার সময় পুলিশ গতি রোধ করে। প্রথমে আই ডি কার্ড দেখতে চাইলে। ড্রাইভার প্রত্যয়নপত্র টি দেখায়। স্টিকার দেখায়। তাতে পুলিশ সন্তষ্ট না হয়ে ডাক্তার জেনির সাথে কথা বলতে চায়।
ডাক্তার জেনি কে পুলিশ পরিচয় জানতে চাইলে তিনি পরিচয় দেন। তখন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম তাকে বলেন এগুলো ভূয়া হতে পারে। অনেক দেখছি এরকম। তখন ডাক্তার জেনি পুলিশের একথা গুলো সহজভাবে নিতে পারেনি। তাকে গ্ৰেফতারের হুমকি দয়া হয়। তখন তিনি গাড়ি থেকে নেমে আসেন। তিনি বলেন আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরবিক্রম তার নাম ভাঙ্গানোর জন্য কেন বলব। ক্ষোভ থেকে বলেছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সব প্রমাণ থাকার পরেও এই স্বাধীন দেশে দশ পনের জন পুলিশ মিলে রাস্তায় হেনস্থা করবে।
আপনাদের জানা নেই। হাসপাতাল থেকে অধিকাংশ সরকারি ডাক্তার দের আইডি নাই। এজন্যই প্রত্যয়নপত্র দেয়া। প্রত্যয়নপত্রে পরিচালকের নাম নাম্বার সব ই ছিল। ইচ্ছা করলেই তারা আমাকে হ্যারেজমেন্ট না করে জেনে নিতে পারত। আমিতো পাগল না বিনা কারনে এরকম করব। আমার কি মান সম্মান নাই। ওদের ই মান সম্মান আছে শুধু। ওরা আমার ছয় গ্ৰেড জুনিয়র। ওরা কিভাবে বেয়াদবি করতে পারে। আমি ছয় ঘন্টা পিপিই পড়ে ডিউটি করে কত ক্লান্ত ছিলাম। আমার মেজাজ কি করে ঠিক থাকে। ওরা আমাকে পাপিয়ার সাথে তুলনা করেছে। আমাকে ভূয়া বলেছে তার জন্য কিছু হোলোনা। আমি হারামজাদা বলায় অন্যায় হয়ে গেল।
ওরা শেখ হাসিনার সৈনিক আমরা তাহলে কি? আমরাও তার সৈনিক। বরং করোনা সম্মুখ সারির যোদ্ধা। প্রতিদিন আমরা জীবন বাজি রেখে ডিউটিতে যাই। পরিবারের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি নিয়ে ফিরে আসি। কোনভাবেই যখন তারা আমাকে ছাড়ছিলনা। আমি এভাবে আচরন করতে বাধ্য হই। পরিশেষে তিনি দেশবাসিকে ভুল না বোঝার জন্য বলেন।
উল্লেখ্য ডাঃ সাইদা শওকত জেনির পিতা শওকত।আলী বীরবিক্রম। চেয়ারম্যান পাঁচবার চিলমারী বন্দর রংপুর। তার সাথে আলাপ কালে পুলিশ প্রশাসনের অদূরদর্শী আচরনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।বলেন এজন্য দেশ স্বাধীন করি নাই। রাস্তায় মেয়েকে হেনস্থা হতে হবে। তিনি বলেন ডাঃ জেনির স্বামী ও একজন স্পেশালিস্ট ডাক্তার। তিনি ইংল্যান্ডে কর্মরত। তাকে ইংল্যান্ড নেয়ার জন্য বললেও পিতার অনুরোধে দেশে থেকে গেছেন এই এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। তারা ছয় ভাই বোনের তিনজন ই বুয়েট থেকে পাস করেছেন। দুইজন ডাক্তার। ডাঃ জেনির মা একজন রত্নগর্ভা মা। যারা তার পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে সমালোচনা করেন সে বিষয়েও দুঃখ প্রকাশ করেন।
লেখকঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম পলাশ
মুক্তিযোদ্ধা নিউজ।
Discussion about this post