ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভুষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল কাদের বিদ্যুৎ কমান্ডার স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে গেলেও স্বীকৃতি পাননি তিনি।কোন সুবিদাধি না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন ৭৫ বছর বয়সী এ মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে তিনি ইপিআর ( ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট) এ চাকুরীরত অবস্থায় কুমিল্লা ১৮ নং রেজিমেন্টের ২০ জন পাকিস্থানী অফিসারকে হত্যা করে ৩২০ জন বাঙ্গালী ভারতে গিয়ে তালিকা ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের ৯ নং সেক্টরের অধীনে ৮ নং তালিকায় কমান্ডার হিসেবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীল কমল, নুরাবাদ, আমিনাবাদ, বোরহানউদ্দিনের কালীগঞ্জে সরাসরি তার নের্তৃত্বে যুদ্ধ পরিচালিত করে পাক হানাদার বাহিনী হত্যা ও মুক্ত করে চরফ্যাশনে সর্ব প্রথম জাতীয় পতাকা ১৬ ডিসেম্বর উত্তোলন করার দাবী করেন তিনি।
পরে তিনি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এ পুনরায় যোগদান করে সেখানে তার সনদ জমা দেন। অবসরে ফিরে আসার সময় তৎকালীন বিজিবি প্রধান মৃত (পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নিহত ) মেজর সাকিল আহম্মেদ সনদ ফিরিয়ে না দেওয়ার কারনে তিনি কোথাও নাম গেজেট ভুক্ত করতে পারেননি বলে আরও জানান । অথচ ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটির তালিকায় তাকে মুক্তিযোদ্বা বিষয়ক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কালাম আজাদের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান ভারতের গেজেটে নাম থাকলে কোন মুক্তিযোদ্ধা অবহেলিত থাকবে না।