ভিনদেশী (ইতালিয়ান) হওয়ার পরও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার খেতাবপ্রাপ্ত ও এদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, কবি, অনুবাদক, সাহিত্যিক, শিক্ষানুরাগী খ্রীষ্ট্র ধর্মযাজক ফাদার মারিনো রিগনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে মোংলা সরকারী কলেজে রিগনের মৃত্যুবার্ষিকী ও স্মরণ সভার আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ সুনিল কুমার বিশ্বাস, মোঃ গোলাম সরোয়ার, ফ্রান্সিস সুদান হালদার, শেহলাবুনিয়া ধর্মপল্লীর পালক পুরোহিত শেরাফিন সরকার, দৈনিক সুন্দরবন পত্রিকার সম্পাদক সেখ হেমায়েত হোসেন।
ফাদার রিগনের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মোংলায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ছাড়াও মোংলা সরকারি কলেজ, সেন্ট পলস ধর্মপল্লী, ফাদার রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পৃথকভাবে নানা কর্মসুচি পালন করেছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ অক্টোবর ফাদার মারিনো রিগন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইতালিতে তার বাড়ীতে মারা যান। তার শেষ ইচ্ছা মতে মৃত্যুর এক বছর পর হলেও সমাহিত হতে যাচ্ছেন মোংলার শেহলাবুনিয়ায়। এ লক্ষে আগামীকাল রবিবার সকালে তার মরাদেহ ঢাকায় পৌছাবে। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে আনা হবে মোংলায়। রবিবার মংলা উপজেলা পরিষদ মাঠে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলির জন্য রাখা হবে রিগনের শবদেহ। শ্রদ্ধা জানানো শেষে তার শবদেহ সেন্ট পলস হাসপাতাল ও সেন্ট পলস স্কুল হয়ে নেয়া হবে শেহলাবুনিয়া গার্জীয়, যেখানে তিনি জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন। তারপর গার্জীর সম্পুখেই তাকে সমাহিত করা হবে। ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে সমাহিত স্থানও। শেহলাবুনিয়ায় অবস্থানকালে রিগন মারাত্মকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার বোন ও আত্মীয়রা তাকে ২০১৪ সালের ২১ ফেব্র“য়ারী ইতালিতে নিয়ে যান।