আমরা গিয়েছিলাম কথা বলতে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার আরাল মিয়া বাড়িতে। কথা বলতে এই উপজেলার একমাত্র খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন খান বীরপ্রতীকের সাথে।
সত্তর বছর বয়সে বললেন স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অংশগ্রহণের কথা। ১৯৬৩ সালে বেঙ্গল রেজিমেন্টে একজন সৈনিক হিসাবে সেনাবাহিনী তে যোগদান করেন। চট্টগ্রামে ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে মেজর খালেদ মোশাররফ এর নেতৃত্বে ব্যারাক ভেঙ্গে অস্ত্র সহ বেরিয়ে আসেন। বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে অর্থাৎ সেক্টর -২ তে যুদ্ধ করেন। মুকুন্দপুরের যুদ্ধে মাথায় গুলি লেগে আহত হন। মেলাঘর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আবার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে অসম সাহসিকতার জন্য ভূষিত করা হয় বীরপ্রতীক উপাধীতে। ১৯৭৯ সালে নায়েক হিসাবে অবসর গ্রহন করেন। অবসরের পর থেকে বসবাস করছেন নিজগ্রামে। অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ তিনি। দারিদ্রতার মধ্যে বসবাস করেও নিজ আত্বসম্মান বজায় রেখেছেন। খেতাবের ভাতাও পেতেন না। কয়েক বছর হলো ভাতা পাচ্ছেন। থাকেন একটা মাটির ঘরে। সরকারের অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া একটি ঘরও তিনি পাননি। অথচ কাপাসিয়া উপজেলার একটি ঘর কেউ পেলেও তার পাওয়া উচিত ছিল। জানালেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কিংবা উপজেলা প্রশাসন খোঁজ রাখেন না। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা তবুও চান দেশের শান্তি।
Discussion about this post