দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর: জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা পলাতক আব্দুল জব্বারের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় হবে যে কোনো দিন৷মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা ছাড়াও ৩৬ জনকে হত্যা, ২০০ জনকে ধর্মান্তরিতকরণ, ৫৫৭টি বাড়িঘরে লুটপাট চালানো ও অগি্নসংযোগের মতো পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷বুধবার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন৷বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় এখন যে কোনো দিন আদালত এ মামলার রায় দিতে পারে৷
শুনানির শেষ দিন জব্বারের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আবুল হাসান৷ রাষ্ট্রপক্ষে সমাপনী যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম ও তাপস কান্তি বল৷গত ১৪ আগস্ট জব্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়৷পিরোজপুরের সাবেক সাংসদ আবদুল জব্বারের বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় গত ১ মে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে ট্রাইবু্যনালের প্রসিকিউশন৷ এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইবু্যনাল গত ১২ মে জব্বারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে৷
তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হওয়ায় এরপর নিয়ম অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়৷ তাতেও তিনি ট্রাইবু্যনালে হাজির না হওয়ায় বিচারক তাকে পলাতক ঘোষণা করে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু করেন৷পলাতক জব্বারের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়তে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবুল হাসান৷
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়, আব্দুল জব্বারের শ্বশুর ছিলেন স্থানীয় মুসলীম লীগ নেতা৷ জব্বার নিজে ছিলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান৷ জাতীয় পার্টির টিকিটে মঠবাড়িয়া থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি৷প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আনুমানিক ৮০ বছর বয়সী এই প্রকৌশলী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা প্রবাসী৷
বুধবার জব্বারের পক্ষে আইনি পয়েন্টে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আবুল হাসান৷ এর জবাবে রাষ্ট্রপক্ষে সমাপনী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম ও তাপস কান্তি বল৷এর মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানান চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল৷
১৯৮৮ ও ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার জব্বার৷ ৮০ বছর বয়সী জব্বার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ছেলে-মেয়ের কাছে পালিয়ে আছেন বলে টওসিকিউশন ধারণা করছেন৷
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি শেষে প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে মোট ২৪ জন সাক্ষী ট্রাইবু্যনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন৷ তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, আটক, অগি্নসংযোগসহমানবতাবিরোধী অপরাধেরমোট ৫টিঅভিযোগের পক্ষে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিয়েছেন৷জব্বারের বিরুদ্ধে সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ট্রাইবু্যনালের কাছে জব্বারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতু্যদণ্ড কামনা করেছেন তিনি৷
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পলাতক ইঞ্জিনিয়ার জব্বার কোথায় আছেন, এমন কোনো তথ্য প্রসিকিউশনের কাছে নেই৷পলাতক জব্বারের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আবুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে ২৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন৷ তাদের সবাইকে জেরা করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে আনা ৫টি অভিযোগের মধ্যে কোনোটিতেই প্রত্যক্ষ ও সক্রিয়ভাবে তিনি জড়িত ছিলেন না৷এ কারণে সকল অভিযোগ থেকে জব্বার খালাস পাবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন৷
পলাতক জব্বারের পরিবারের কেউ দেশে থাকেন না জানিয়ে তিনি বলেন, মামলার শুরু থেকে আমি জব্বারের নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করেছি৷ মামলা পরিচালনায় তাদের অনীহা ছিল৷
ট্রাইবু্যনালে দাখিল করা রাষ্ট্রপক্ষের দলিলপত্র অনুসারে ইঞ্জিনিয়ার জব্বার আমেরিকায় অবস্থান করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন৷মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার শান্তি (পিস)কমিটির চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১৯ মে তদন্ত শুরু করে গত ২৮ এপ্রিল শেষ করা হয়৷ পরদিন ২৯ এপ্রিল তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে দাখিল করেন তদন্ত সংস্থা৷ ৫টি অভিযোগে ৭৯ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে মোট এক হাজার ৯শ’ পৃষ্ঠার এ তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়৷
ওই প্রতিবেদনের নথিপত্র, সাক্ষ্য-প্রমাণসহ যাবতীয় বিচার বিশ্লেষণ করে ৫টি অভিযোগে ৭৯ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়৷ গত ১১ মে প্রসিকিউটর মোহাম্মদ জাহিদ ইমাম এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন৷
গত ১২ মে ইঞ্জিনিয়ার জব্বারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনীত ৫টি অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইবু্যনাল৷ তবে তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করতে না পারায় নিয়ম অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়৷ তাতেও তিনি ট্রাইবু্যনালে হাজির না হওয়ায় গত ৮ জুলাই তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ চলার আদেশ দেন ট্রাইবু্যনাল৷ একইসঙ্গে পলাতক অবস্থায় বিচার শুরু করার জন্য আসামি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের পক্ষে মোহাম্মদ আবুল হাসানকে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগ দেন ট্রাইবু্যনাল৷গত ১৪ আগস্ট আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইবু্যনাল৷
এর আগে গত ২০ জুলাই জব্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা৷ অপরদিকে অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন তার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান৷
৭ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম৷গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনসহ রাষ্ট্রপক্ষের ২৪ জন সাক্ষী৷ তাদের মধ্যে ঘটনার অন্য ২২ জন সাক্ষী হচ্ছেন শোয়েবুর রহমান গুলদার, আব্দুল কুদ্দুস মাতুব্বর, আবুল মেকার, সিদ্দিক মাতুব্বর, আবুল কালাম শরীফ, শহীদ পরিবারের সদস্য সন্তোষ কুমার মিত্র, শহীদজায়া নূরজাহান বেগম, শহীদ পরিবারের সদস্য মোজাম্মেল হক শরীফ, আহমেদ মিয়া, বিমল চন্দ্র ব্যাপারী, আব্দুস ছত্তার শরীফ, দিলীপ কুমার পাইক, জনপ্রসাদ পাইক, মহেন্দ্র অধিকারী, শহীদ পরিবারের সদস্য বকুল রানী হালদার, শহীদ পরিবারের সদস্য টিকেন্দ্রনাথ মজুমদার, বীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, শহীদপুত্র দীপক কুমার বিশ্বাস, শহীদ পরিবারের সদস্য সন্তোষ কুমার খরাতী, মো. বাচ্চু আকন, কেশব চন্দ্র বিশ্বাস এবং বিধান চন্দ্র কীর্ত্তনীয়া৷
আর জব্দ তালিকার সাক্ষী হচ্ছেন বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের (পিআইবি) ক্যাটালগার মো. রবিউল আনাম খান৷তাদেরকে জেরা করেছেন জব্বারের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান৷গত ১ ডিসেম্বর ও বুধবার জব্বারের পক্ষে দুই কার্যদিবসে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান৷ অন্যদিকে গত ২৫ থেকে ৩০ নভেম্বর ও বুধবার চার কার্যদিবসে জব্বারের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল ও জাহিদ ইমাম৷
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের শ্বশুর ছিলেন স্থানীয় মুসলিম লীগ নেতা৷ তিনি ১৯৫৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন৷ আব্দুল জব্বার ১৯৭১ সালের আগে মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন৷ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নেতৃত্বে মঠবাড়িয়া থানায় রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়৷ জব্বার ছিলেন থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান৷ আত্মীয় ইস্কান্দার মৃধাকে তিনি রাজাকার কমান্ডার করেন৷জব্বারের বিরুদ্ধে ৫টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ৩৬ জনকে হত্যা-গণহত্যা, ২শ’ জনকে ধর্মান্তরিতকরণ এবং লুন্ঠন ও অগি্নসংযোগ করে ৫শ’ ৮৭টি বাড়ি-ঘর ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ তিনি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার ফুলঝুড়ি, নলী ও আঙ্গুলকাটা গ্রামে এসব অপরাধ সংঘটিত করেন৷
প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার জব্বারের নেতৃত্বে রাজাকাররা মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১৬ মে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ফুলঝুড়ি গ্রামের দুই মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাক বিশ্বাস ও মোতালেব শরীফকে হত্যা করে৷ এছাড়া গ্রামের নাথপাড়া ও কুলুপাড়ার আনুমানিক ১৬০টি বাড়িতে লুট এবং অগি্নসংযোগ করে৷দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১৭ মে ইঞ্জিনিয়ার জব্বারের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকাররা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ফুলঝুড়ি গ্রামে আক্রমণ করে৷ তারা গ্রামের শারদা কান্ত পাইককে হত্যা এবং ৩৬০টি বাড়িঘরে লুটপাট ও অগি্নসংযোগ করে৷
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২২ মে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বার শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকারদের নিয়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার নলী গ্রামে আক্রমণ করেন৷ জব্বার নিজে তার হাতে থাকা রাইফেল দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন গ্রামের সাখানাথ খরাতীকে৷ জব্বারের নির্দেশে রাজাকাররা এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে গ্রামের নিশিকান্ত বিশ্বাস ও তার ছেলে সুরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, জিতেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, গণেশ চন্দ্র মিস্ত্রি, উপেন্দ্র নাথ মিস্ত্রি, বসন্ত হালদার, বলরাম মিস্ত্রি, ষষ্ঠী হালদারকে গুলি করে হত্যা করে৷ সেদিন গ্রামের মোট ১১ জন শহীদ হন৷ রাজাকাররা গ্রামের ৬০টি বাড়ির মালামাল লুটপাট ও অগি্নসংযোগ করে৷
চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তর সালের ১৬ মে তুষখালী হাইস্কুল মাঠে ইঞ্জিনিয়ার জব্বার মিটিং করেন৷ ওই মিটিংয়ে হিন্দুদেরকে তিনি পাকিস্তানের শত্রু তাদের অর্থ-সম্পত্তিকে গনিমতের মাল’ হিসেবে ঘোষণা করেন৷ তার এ ঘোষণায় রাজাকাররা ফুলঝুড়ি গ্রামের সাতটি বাড়িতে লুটপাট এবং অগি্নসংযোগ করে৷ জব্বারের নির্দেশে রাজাকাররা গ্রামের প্রায় দুইশ’ নিরস্ত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে জোরপূর্বক কলেমা পড়িয়ে ধর্মান্তর করে এবং তাদের নাম পরিবর্তন করানো হয়৷পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৬ অক্টোবর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার আঙ্গুলকাটা ও মঠবাড়িয়া গ্রাম থেকে ৩৭ জনকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও তাদের মালামাল লুন্ঠন করে রাজাকাররা৷ জব্বার ইঞ্জিনিয়ার তাদের মধ্য থেকে ৭ জনকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন৷ বাকি ৩০ জনকে সূর্যমনি নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে জব্বারের নির্দেশে গুলি করা হয়৷ এ সময় ২২ জন ঘটনাস্থলেই শহীদ হন এবং ৮ জন গুরুতর আহত হন৷