দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর: একাত্তরের মতো গুম-খুন-গুপ্তহত্যা চলছে অভিযোগ করে এর জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে দায়ী করেছে বিএনপি৷বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যে স্বপ্ন পূরণের জন্য এদেশ স্বাধীন করেছিল আজ আওয়ামী লীগ তা ধূলিসাত্ করে দিচ্ছে৷ বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে৷
রোববার সকাল ১০ টার দিকে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন৷তিনি বলেন, দেশে একাত্তর সালের মতো গুম-খুন-গুপ্ত হত্যা চলছে৷ শহীদ বুদ্ধিজীবীরা একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন৷ কিন্তু আজ কি দেখছি? বিনা ভোটে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে আওয়ামী লীগ৷
এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য জনগণ আন্দোলন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, একাত্তরে এদেশকে মেধাশূন্য করার যে ষড়যন্ত্র হয়েছে, গুম-খুনের মাধ্যমে আজ আবার সেই চক্রান্ত শুরু হয়েছে৷ গণতন্ত্রহীনতা ও ফ্যাসিজমই এর জন্য দায়ী৷ এসময় দলের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীরা যে উদ্দেশে জীবন দিয়েছিলেন তা এখনও পূরণ হয়নি৷ আজ দেশ মুক্ত, তবে আমরা এখনও পরাধীন অবস্থায় আছি৷ কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো এখনও দেশে গুম-খুন চলছে৷
মির্জা আব্বাস বলেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই৷ তবে গণতন্ত্র আসতেই হবে৷ এটা জনগণের চাহিদা৷ এটা এমনিতেই আসবে না৷ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে৷বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না বলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, হানিফ সরকারের লোক, তিনি তো এসব কথাই বলবেন৷ কারণ তারা খুব ভাল করে বুঝতে পেরেছেন তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন৷ আর এ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তারা যা করার দরকার তা করবেন৷
তিনি আরও বলেন, হানিফ সাহেব আন্দোলন বলতে কী বুঝিয়েছেন? আন্দোলন কি শুধু খুনোখুনি? আমরা খুনোখুনিতে বিশ্বাস করি না৷ বিএনপি এটা করতে চায় না৷ আন্দোলন একটি চলমান প্রক্রিয়া৷ সরকার এভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পারবে না৷বিএনপির আন্দোলন নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আপন কাজ সঠিকভাবে করতেও হানিফকে পরামর্শ দেন মির্জা আব্বাস৷
অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস,আবদুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মাহবুবউদ্দিন খোকন,হাব.