• বঙ্গবন্ধু
  • আমাদের পাতা
  • মতামত
  • বিজ্ঞাপন
  • যোগাযোগ
Monday, July 7, 2025
  • Login
No Result
View All Result
মুক্তিযোদ্ধা নিউজ
  • রাজনীতি
  • মুক্তিযোদ্ধা
    • বীর মুক্তিযোদ্ধা
    • প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা
  • সাহিত্য পাতা
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • মুক্তিযুদ্ধের গল্প
    • ছবি গ্যালারি
    • ভিডিও গ্যালারি
  • প্রজ্ঞাপন
  • মুক্তিযোদ্ধা অনুসন্ধান
মুক্তিযোদ্ধা নিউজ
  • রাজনীতি
  • মুক্তিযোদ্ধা
    • বীর মুক্তিযোদ্ধা
    • প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা
  • সাহিত্য পাতা
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • মুক্তিযুদ্ধের গল্প
    • ছবি গ্যালারি
    • ভিডিও গ্যালারি
  • প্রজ্ঞাপন
  • মুক্তিযোদ্ধা অনুসন্ধান
No Result
View All Result
মুক্তিযোদ্ধা নিউজ
No Result
View All Result
Home Common

মানবতাবিরোধী অপরাধ:কায়সারের ফাঁসি

Syed Refaquat RAJOWAN by Syed Refaquat RAJOWAN
2014-12-23 13:21:40
in Common, মুক্তিযুদ্ধ
1 min read

RelatedPosts

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলা

তৃতীয় ধাপে ১২ হাজার ১১৬ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ

২০ হাজার টাকা করে সম্মানী পাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ছে

500x350_b95df4d9c33ce07283794ce307354f39_Kaisar-4-1419315316

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর: একাত্তরেমানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের কায়সার বাহিনীর প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আনর্্তজাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল-২৷ মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে এ রায় ঘোষণা করা হয়৷কায়সারের বিরুদ্ধে আনা ১, ২, ৩, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৬ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে৷ এর মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃতু্যদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে৷২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বর অভিযোগে সাত বছর এবং ১১ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর কারাদণ্ড পেয়েছেন তিনি৷ খালাস পেয়েছেন ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ থেকে৷ সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরম্নদ্ধে সুনির্দিষ্ট ১৬টির মধ্যে ১৪টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে৷ তাকে সর্বোচ্চ সাজা মৃতু্যদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে ট্রাইবু্যনাল৷

এর মধ্যে ৩,৫,৬,৮,১০,১২ ও ১৬ নম্বর- এ সাতটি অভিযোগে তাকে মৃতু্যদন্ড, অভিযোগ নম্বর ১,৯ ১৩ ও ১৪ এ তাকে আমৃতু্য কারাদন্ড, ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বর অভিযোগে ৭ বছর ও ১১ নম্বর অভিযোগে তাকে ৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়৷ আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়৷আনত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার এ রায় দেয়৷ এটি ট্রাইবু্যনালের ১৪ তম রায় এবং ট্রাইবু্যনাল-২ এ ঘোষিত ৮ম রায়৷ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি ৫ম রায়৷

রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইবু্যনাল মুক্তিযুদ্ধকালে নির্যাতিত বীরাঙ্গনা নারী ও যুদ্ধশিশুদের তালিকা করে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে বলেছে ৷কায়সারের বিরম্নদ্ধে আনীত মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগ হলো-অভিযোগ ১: ১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের পুলিশ ফাঁড়ি ও ইসলামপুর গ্রামের কাজীবাড়িতে শাহজাহান চেয়ারম্যানকে হত্যা, নায়েব আলী নামের একজনকে জখম ও লুটপাট করে কায়সার ও তার লোকজন৷ এ অভিযোগে তাকে আমৃতু্য কারাদন্ড দেয়া হয়৷৪৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের সারাংশ পড়ছেন ট্রাইবু্যনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান৷ বিচারক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া৷ ঘৃণিত বাহিনী ও ব্যক্তি

রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, একাত্তরে সৈয়দ কায়সার প্রথমে হবিগঞ্জ মহকুমা শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকার কমান্ডার ছিলেন৷ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ৫০০/৭০০ স্বাধীনতাবিরোধী লোক নিয়ে নিজের নামে ‘কায়সার বাহিনী’ নামে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করার জন্য একটি সহযোগী বাহিনী গঠন করেন৷ তিনি নিজে ওই বাহিনীর প্রধান ছিলেন৷ কায়সার বাহিনী’ নামাঙ্কিত এ বাহিনীর নিজস্ব ইউনিফরমও ছিল৷কায়সার এ বাহিনীর মাধ্যমে তিনি হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বৃহত্তর কুমিল্লায় হত্যা, গণহত্যা, মুক্তিযোদ্ধা হত্যা, ধর্ষণ, হামলা, নির্যাতন, লুটপাট, অগি্নসংযোগসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালান৷ তিনি পাকিস্তানি সেনাদের পথ দেখিয়ে বিভিন্ন গ্রামে নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের লোক এবং হিন্দু সমপ্রদায়ের ওপর আক্রমণ চালান৷রায়ের পর্যবেক্ষণে কায়সার বাহিনীকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী বাহিনী বা অঙ্লিারি ফোর্স না বললেও ট্রাইবু্যনাল বলেন, এ বাহিনী ও সৈয়দ কায়সার ভিক্টিম ও অপরাধ সংঘটনস্থল এলাকাগুলোর মানুষের কাছে ঘৃণিত হয়ে থাকবে৷

রায় ঘোষণা উপলক্ষে আজ সকালে কায়সারকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালে আন হয়৷ তাঁকে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়৷ পরে সেখান থেকে তাঁকে ট্রাইবু্যনালে আসামির কাঠগড়ায় নেওয়া হয়৷ বেলা ১১টার পর সংক্ষিপ্ত রায় পড়া শুরু করেন ট্রাইবু্যনাল৷ দুপুর ১২টা ১০ মিনিট থেকে শুরু করে সোয়া ১২টার মধ্যে ঘোষণা করা হয় দণ্ড৷ এদিকে, একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার৷মামলার রায় ঘোষণার পর কায়সারের আইনজীবী এসএম শাহজাহান বলেন, যেহেতু রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রয়েছে, আমরা আপিল করব৷ আশা করি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় বিচার পাব৷প্রসিকিউশনের আনা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৪টি প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক মুসলিম লীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে ট্রাইবু্যনাল মৃতু্যদণ্ড দিয়েছে, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিলেন৷

তার আইনজীবী শাহজাহান বলেন, আইনজীবী হিসাবে রায়ের প্রতিক্রিয়া দেখানো যায় না৷ তবে ট্রাইবু্যনাল যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেভাবেই রায় হয়েছে৷তিনি বলেন, ট্রাইবু্যনালের রায়ের পর তা আপিল বিভাগে যাবে, চূড়ান্ত রায়ের পর তা পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকবে৷ এরপরই দণ্ড কার্যকরের প্রশ্ন আসে৷মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জাতীয় পার্টির সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে দেওয়া ফাঁসির রায় বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুদের প্রতি উত্‍সর্গ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা৷

প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত পরে সাংবাদিকদের জানান, কায়সারের বিরুদ্ধে আনা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৪টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে৷এর মধ্যে সাতটি অভিযোগে তার মৃতু্যদণ্ড, চারটিতে যাবজ্জীবন, দুটিতে ১০ ও ৭ বছর এবং একটিতে ৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে৷ আর দুটি অভিযোগ থেকে আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত৷রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী বলেন, এ রায়ে আমরা আনন্দিত৷

তিনি জানান, যুদ্ধ শিশুদের জন্য কমপেনসেশন স্কিম চালু ও তাদের পুনর্বাসনে রাষ্ট্রের ভূমিকা নেওয়া উচিত্‍ বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে৷গত ২০ আগস্ট এ মামলার কার্যক্রম শেষে ট্রাইবু্যনাল রায় অপেক্ষমাণ রাখেন৷ সেদিন শারীরিক কারণে জামিনে থাকা কায়সারের (৭৩) জামিন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে পাঠান ট্রাইবু্যনাল৷ মোহাম্মদ কায়সার ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী৷

১৯৭১ সালে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কায়সার বাহিনী’ গঠন করে ওই দুই জেলায় যুদ্ধাপরাধে নেতৃত্ব দেন এই মুসলিম লীগ নেতা৷ জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি হয়ে যান বিএনপির লোক, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময় জাতীয় পার্টির৷বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মঙ্গলবার ৭৪ বছর বয়সী এই যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজার রায় ঘোষণা করে৷ট্রাইবু্যনালের অপর দুই সদস্য বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহিনুর ইসলামও এ সময় উপস্থিত ছিলেন৷৪৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়ে বিচারক বলেন, সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৪টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে৷

মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারাধীন আসামিদের মধ্যে কায়সার দ্বিতীয় ব্যক্তি, যাকে জামিনে রেখে শুনানি চলে৷ গত ২০ অগাস্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়৷ ট্রাইবু্যনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ১৪টি মামলার মধ্যে কায়সারসহ দুইজন একাত্তরে মুসলিম লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, যারা পরে বিএনপির আমলে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হন৷হবিগঞ্জের মাধবপুরের ইটাখোলা গ্রামের সৈয়দ সঈদউদ্দিন ও বেগম হামিদা বানুর ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ওরফে মো.কায়সার ওরফে সৈয়দ কায়সার ওরফে এসএম কায়সারের জন্ম ১৯৪০ সালের ১৯ জুন৷নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সময় তিনি যে তথ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছেন, তাতে ঢাকার আরমানিটোলা নিউ গভার্নমেন্ট হাই স্কুল থেকে তার মেট্রিক ও জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করার কথা বলা হয়েছে৷ তবে ওই স্কুলে তার পড়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ট্রাইবু্যনালকে জানানো হয়৷নির্বাচন কমিশনের নথিতে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বলা হয়েছে, তিনি বিএ পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন৷ কয়েকটি শিল্প কারখানাতেও তার মালিকানা রয়েছে৷

সৈয়দ কায়সারের বাবা সৈয়দ সঈদউদ্দিন ১৯৬২ সালে সিলেট-৭ আসন থেকে কনভেনশন মুসলিম লীগের এমএলএ নির্বাচিত হন৷ ওই বছরই মুসলিম লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন তার ছেলে কায়সার৷১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত কায়সার মুসলিম লীগ সিলেট জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন৷ ১৯৭০ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বনি্দ্বতা করে তিনি পরাজিত হন৷

১৯৭১ সালে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ৫০০ থেকে ৭০০ স্বাধীনতাবিরোধীকে নিয়ে কায়সার বাহিনী’ গঠন করেন এই মুসলিম লীগ নেতা৷ তিনি নিজে ছিলেন ওই বাহিনীর প্রধান৷তিনি যে সে সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পথ দেখিয়ে বিভিন্ন গ্রামে নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের লোক এবং হিন্দু সমপ্রদায়ের ওপর দমন অভিযান চালিয়েছিলেন- সে বিষয়টি মামলার সাক্ষীদের বক্তব্যেও উঠে এসেছে৷১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করার ঠিক আগে কায়সার পালিয়ে লন্ডনে চলে যান৷ দেশে ফেরেন ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর৷জিয়াউর রহমানের সময় ১৯৭৮ সালে আবারো রাজনীতিতে সক্রিয় হন কায়সার৷ ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন৷

পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং হবিগঞ্জ বিএনপির সভাপতি হন৷ ১৯৮২ সালে তিনি বিএনপির শাহ আজিজুর রহমান অংশের যুগ্ম মহাসচিবও হন৷সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ে কায়সার জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং হবিগঞ্জ শাখার সভাপতির দায়িত্ব পান৷ ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে লাঙ্গল টওতীকে নির্বাচন করে আবারও দুই দফা তিনি সংসদ সদস্য হন৷ ওই সময় তাকে কৃষি প্রতিমন্ত্রীরও দায়িত্ব দেন এরশাদ৷এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন কায়সার৷ এক পর্যায়ে এরশাদের দল ছেড়ে তিনি যোগ দেন পিডিপিতে৷মামলার পূর্বাপর: গতবছর ১৫ মে কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইবু্যনাল৷ ওই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় মুসলিম লীগের এই সাবেক নেতাকে৷ এরপর তাকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷

২১ মে পুলিশ কায়সারকে হাসপাতাল থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান৷ আসামিপক্ষের আবেদনে গতবছর ৪ অগাস্ট সৈয়দ কায়সারকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয় ট্রাইবু্যনাল৷প্রসিকিউশনের তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম ২০১২ সালের ২৮ মার্চ থেকে গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করেন৷এরপর ১০ নভেম্বর ট্রাইবু্যনালে কায়সারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন, যাতে যুদ্ধাপরাধের ১৮টি অভিযোগ আনা হয়৷এর মধ্যে ১৬টি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ কায়সারের বিচার শুরু করে ট্রাইবু্যনাল, যার মধ্যে গণহত্যার একটি; হত্যা, নির্যাতন, অগি্নসংযোগ ও লুটপাটের ১৩টি এবং ধর্ষণের দুটি অভিযোগ রয়েছে৷গত ৪ মার্চ প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্তর সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়৷ কায়সারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউশনের মোট ৩২ জন সাক্ষী৷

আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের সবাইকে জেরাও সম্পন্ন করেন৷ তবে কায়সারের পক্ষে কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি আসামিপক্ষ৷এরপর ২৩ জুলাই থেকে প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর তুরীন আফরোজ, রানা দাশগুপ্ত ও তাপস কান্তি বল৷ কায়সারের পক্ষে ৭ আগস্ট থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন এস এম শাহজাহান ও আব্দুস সোবহান তরফদার৷দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২০ অগাস্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে ট্রাইবু্যনালচতুর্দশ রায়: বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইবু্যনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরু হয়৷ ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি প্রথম রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ আসে৷ পলাতক থাকায় তিনি আপিলের সুযোগ পাননি৷

৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যা প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেয় হাজার হাজার মানুষ৷যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সেই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে জনতার দাবির মুখে সরকার ট্রাইবু্যনাল আইনে সংশোধন আনে৷ এর মধ্যে দিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে দুই পক্ষেরই আপিলের সমান সুযোগ তৈরি হয়৷ গত ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ এ মামলার চূড়ান্ত রায়ে কাদের মোল্লাকে প্রাণদণ্ড দেয়, যা কার্যকর করা হয় ১২ ডিসেম্বর৷

ট্রাইবু্যনালের তৃতীয় রায়ে গতবছর ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ হলে দলটির ঘাঁটি বলে পরিচিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে৷ সরকারি হিসেবেই পুলিশসহ নিহত হয় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ৷ওই রায়ের বিরুদ্ধে সাঈদী আপিল করলে চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর দেইল্যা রাজাকার নামে খ্যাত এই জামায়াত নেতার সাজা কমিয়ে আমৃতু্য কারাদণ্ডের আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত৷গতবছর ৯ মে ট্রাইব্যুনালের চতুর্থ রায়ে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকেও মৃতু্যদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল৷ আপিলের রায়েও গত ৩ নভেম্বর তার সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকে৷

মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র,পরিকল্পনা ও উসকানির দায়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত আমীর গোলাম আযমকে গতবছর ১৫ জুন ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল৷ এটি ছিল ট্রাইবু্যনালের পঞ্চম রায়৷রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলার মধ্যেই গত ২৩ অক্টোবর রাতে হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন অবস্থায় মারা যান ৯২ বছর বয়সী জামায়াতগুরু৷গতবছর ১৭ জুলাই ষষ্ঠ রায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃতু্যদণ্ড দেওয়া হয়৷এরপর ১ অক্টোবর সপ্তম রায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রামের সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় আসে৷ তারা দুজনই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছেন৷

গতবছর ৯ অক্টোবর বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ যুদ্ধাপরাধের দণ্ড ভোগের মধ্যে ৮৩ বছর বয়সে গত ৩০ অগাস্ট মারা যান আলীম৷ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবু্যনালের রায়ের পর ১১ মাস কারাবন্দি অবস্থায় হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলেন তিনি৷বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে একাত্তরের দুই বদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে গতবছর ৩ নভেম্বর মৃতু্যদণ্ড দেয় ট্রাইবু্যনাল৷ তারা দুজনেই পলাতক৷দশম রায়ে গত ২৯ অক্টোবর জামায়াত আমির একাত্তরের বদর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীকেও দেওয়া হয় সর্বোচ্চ সাজা, যিনি বাঙালি জাতিকে সমূলে ধ্বংস করতে স্বেচ্ছায় ও সচেতনভাবে’ ইসলামের অপব্যবহার করেন বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়৷ তিনিও এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন৷একাদশ রায়ে গত ২ নভেম্বর চট্টগ্রামের আলবদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীকে আদালত মৃতু্যদণ্ড দেয়৷ জামায়াতে ইসলামীর এই শুরা সদস্যকে দলটির প্রধান অর্থ যোগানদাতা বলা হয়ে থাকে৷গত ১৩ নভেম্বর ফরিদপুরের রাজাকার কমান্ডার জাহিদ হোসেন খোকন ওরফে খোকন রাজাকারের ফাঁসির আদেশ আসে৷আর সর্বশেষ ২৪ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার কমান্ডার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোবারক হোসেনকেও আদালত মৃতু্যদণ্ড দেয়৷

Tags: আইনজীবী হিসাবে রায়ের প্রতিক্রিয়া দেখানো যায় না৷ তবে ট্রাইবু্যনাল যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেএকাত্তরেমানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের কায়সার বাহিনীর প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আনতার আইনজীবী শাহজাহান বলেনমানবতাবিরোধী অপরাধ:কায়সারের ফাঁসিসেভাবেই রায় হয়েছে৷তিনি বলেনসৈয়দ কায়সারের বাবা সৈয়দ সঈদউদ্দিন ১৯৬২ সালে সিলেট-৭ আসন থেকে কনভেনশন মুসলিম লীগের এমএলএ নির্বাচিত হন৷ ওই বছরই মুসলিম লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন তার ছেলে কায়সার৷
Share10Tweet7Share2
Previous Post

২২ ডিসেম্বর গৌরনদী পাকহানাদার মুক্ত দিবস

Next Post

৬২ বছর পর পাটগ্রামে শহীদ মিনার

Syed Refaquat RAJOWAN

Syed Refaquat RAJOWAN

Editor In Chief Muktijoddha NEWS and Doinikbarta (http://doinikbarta.com)

Popular News

  • সহজ শর্তে ‘মুক্তিযোদ্ধা গৃহনির্মাণ ঋণ’ প্রতিবেদন চূড়ান্ত

    সহজ শর্তে ‘মুক্তিযোদ্ধা গৃহনির্মাণ ঋণ’ প্রতিবেদন চূড়ান্ত

    9146 shares
    Share 5436 Tweet 1546
  • অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি জামুকার সহকারী উপপরিচালক বরখাস্ত

    6898 shares
    Share 3576 Tweet 1384
  • মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ছে

    4849 shares
    Share 1940 Tweet 1212
  • লাল মুক্তিবার্তায় নাম থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই লাগবে না

    3944 shares
    Share 1578 Tweet 986
  • বিনা সুদে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা করে ঋণ পাবেন মুক্তিযোদ্ধারা।

    4341 shares
    Share 2324 Tweet 841
  • বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের নতুন আদেশ

    2611 shares
    Share 1044 Tweet 653
  • মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নতুন করে নাম এলো যাদের

    2697 shares
    Share 1143 Tweet 648
  • ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রকাশ

    2489 shares
    Share 996 Tweet 622
  • মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ২০ হাজার টাকা করার সুপারিশ

    2260 shares
    Share 904 Tweet 565
  • অনলাইনে মিলবে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ৩৮ সেবা

    3229 shares
    Share 2010 Tweet 508

Recommended

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন হেমায়েত উদ্দিন বীরবিক্রম

9 years ago

বিজয় দিবসে রাজধানীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি

10 years ago

এটিএম আজহারের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে

5 years ago
“গার্ড অব অনার ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সমাহিত করণ” এক অসন্মান জনক অধ্যায়

“গার্ড অব অনার ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সমাহিত করণ” এক অসন্মান জনক অধ্যায়

5 years ago

মুক্তিযোদ্ধা

Category

  • Common
  • অপরাধ
  • ছবি গ্যালারি
  • প্রজ্ঞাপন
  • প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা
  • বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • মতামত
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযুদ্ধের গল্প
  • মুক্তিযোদ্ধা
  • মুক্তিযোদ্ধা অনুসন্ধান
  • মুক্তিযোদ্ধা নিপীড়ন
  • যুদ্ধাপরাধ
  • রাজনীতি
  • সশস্ত্র বাহিনী
  • সাহিত্য পাতা
  • স্বাস্থ্য ও চিকিত্‍সা

Site Links

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

About Us

দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের প্রজন্মের সকল খবরাখবর নিয়ে আমাদের এই প্রচেষ্টা, বাংলাদেশের সর্ব প্রথম এবং একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম। সাথে থাকুন, অংশগ্রহণ করুন, চলুন একসাথে এগিয়ে যাই।।

  • বঙ্গবন্ধু
  • আমাদের পাতা
  • মতামত
  • বিজ্ঞাপন
  • যোগাযোগ

© 2020 মুক্তিযোদ্ধা নিউজ - বাংলাদেশের সর্ব প্রথম এবং একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম। by i-Bangla Limited.

No Result
View All Result
  • রাজনীতি
  • প্রজ্ঞাপন
  • মুক্তিযোদ্ধা
    • বীর মুক্তিযোদ্ধা
    • প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা
  • সাহিত্য পাতা
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • মুক্তিযুদ্ধের গল্প
    • ছবি গ্যালারি
    • ভিডিও গ্যালারি
  • মুক্তিযোদ্ধা অনুসন্ধান

© 2020 মুক্তিযোদ্ধা নিউজ - বাংলাদেশের সর্ব প্রথম এবং একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম। by i-Bangla Limited.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In