দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ২৮ জুলাই ২০১৫: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির হাজার বছরের জাতীয় মুক্তির আন্দোলন, সংগ্রাম ও স্বপ্ন বুকে ধারণ করে ৫২- এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যূত্থান ও ৭০-এর নির্বাচনে বিপুল বিজয় এনে দিয়েছেন। তিনি ৭১-এর মার্চের অসহযোগ আন্দোলন শেষে ২৬শে মার্চ সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা ও নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা এনেছেন। তাই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ও আমাদের স্বাধীনতা এক ও অবিচ্ছেদ্য সত্ত্বা। তিনি মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ বিষয়ক কলেজ শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লেকচার প্রদানকালে একথা বলেন।মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ধারণ ও লালনের লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ শীর্ষক সবার জন্য আবশ্যিক বিষয়ে কলেজ শিক্ষকদের এ বিশেষ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ কোর্স উপদেষ্টা হিসেবে এ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। গাজীপুরের বোর্ডবাজারস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত প্রথম ব্যাচের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন কলেজের ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের ১২০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, প্রতি ব্যাচে ১২০ জন করে প্রাথমিক পর্যায়ে ২টি ব্যাচে মোট ২৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে (কলেজ শিক্ষক) প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২৮ জুলাই (মঙ্গলবার) প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। আগামী ১০ আগষ্ট উক্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের ২য় ব্যাচ-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে। অনুরুপভাবে আগামী নবেম্বর-ডিসেম্বর মাসে একই বিষয়ের উপর আরো দু’টি ব্যাচের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সম্মুখ সমরে নেতৃত্বদানকারী বীর সৈনিক, ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক, গবেষক ও প্রথিতযশা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা জনাব এইচ. টি. ইমাম, সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল কে. এম. সফিউল্লাহ, সিনিয়র আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, সাবেক ডেপুটি স্পীকার কর্ণেল(অবঃ) শওকত আলী এম.পি, এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামান খান, ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এর ট্রাস্টি মফিদুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংক এর গভর্ণর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, ইতিহাসবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ কর্ণেল(অবঃ) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতিক), অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মাহবুবুল মোকাদ্দেম(আকাশ), অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানউজ্জামান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর, ট্রেজারার অধ্যাপক নোমান উর রশিদও রয়েছেন।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফয়জুল করিম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
Discussion about this post