দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ৫ আগস্ট, ২০১৫ : জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম বাঙ্গালী। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতির পিতাই গঠন করেছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই এ দেশ থেকে ঘোড়দৌড় এবং মদের লাইসেন্স দেয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তাই গতকাল আলেম ওলামাদের এই বিষয়গুলে নিয়ে কথা বলা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। আজ বিকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ইষলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন ।
ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্বীনি দাওয়াতি কার্যক্রমের প্রসারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাথে সম্পৃক্ত আলেমগণকে কর্পোরেট মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আনয়ন কৌশল নির্ধারণ বিষয়ক এই মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যক্ষ মোঃ মতিউর রহমান ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী এমপি ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল। প্রধান অতিথি ফজলে রাব্বী মিয়া আরো বলেন, আলেম ওলামাদেরকে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির আওতায় আনা গেলে দ্বীনি দাওয়াতের কাজসমূহ আরো গতি পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী এমপি বলেন, এ দেশে ইসলামকে নিয়ে যত মৌলিক কাজ হয়েছে তা পৃথিবীর আর কোথাও হয়নি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মত এত বড় ইসলামিক প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর কোন দেশে নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।সভাপতির বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যক্ষ মোঃ মতিউর রহমান এমপি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু ইসলামের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে যেসব কাজ করে গেছেন তা অতুলনীয়। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই কাজগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সাফল্যের কাজ করে যাচ্ছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, আলেম সমাজকে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় আনার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কাজ করছে।
তিনি বলেন, আলেম ওলামাদের কর্পোরেট মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা সম্ভব হলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিদ্যমান সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ধর্মীয় সেক্টরে একটি শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা করা যাবে।
Discussion about this post