শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে এবার ঢাকায় মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে নড়াইলেও খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন শহীদ পরিবারের সন্তান, বাংলাদেশ জাতীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা মণীন্দ্র কুমার নাথ। সাড়ে ১১ টার দিকে এ মামলাটির শুনানি শেষে দেয়া আদেশে বিচারক আগামি ১৮ ফেব্র“য়ারির মধ্যে শাহবাগ থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদিপক্ষে এ মামলাটি দায়ের করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লা হিরু, অ্যাডভোকেট তাছলিমা ইয়াসমিন দিপা, তপো গোপাল ঘোষ। এছাড়াও মামলা দায়েরের পর গয়েশ্বের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালমা হাই টুনি।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, গত ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর রায় বলেন, পাকিস্তানের যারা বেতন-ভাতা খাইছে, শেষ দিন পর্যন্ত, তারা (শহীদ বুদ্ধিজীবী) নির্বোধের মতো মারা গেল, আমাদের মতো নির্বোধেরা প্রতিদিন তাদের শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে ফুল দেয়। না গেলে আবার পাপ হয়। ওনারা যদি এত বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজের ঘরে থাকে কী করে, একটু বলেন তো। আর তা ছাড়া নিজ নিজ কর্মস্থলে প্রতি মাসে পাকিস্তানের বেতন খাইল, এটাও তো কথা বলা যায়, যায় না? পাকিস্তান সরকারের তারা বেতন খাইল, তারা হয়ে গেল মুক্তিযোদ্ধা, আর যারা পালায়ে পালায়ে না খেয়ে বেড়াল তারা হয়ে গেল রাজাকার। তাই না?গয়েশ্বর বলেন, যারা ২৫ মার্চ মারা গেছেন, তারা মারা গেছেন না জানার কারণে। আর যারা ১৪ ডিসেম্বর মারা গেছেন, তারা অজ্ঞতার কারণে মারা যাননি। তারা জ্ঞাতসারে অবস্থান করছিলেন।গয়েশ্বরের এই বক্তব্যে শহীদ পরিবারের সদস্যো জনসমক্ষে হেয় ও অপমানিত হওয়ায় বাধ্য হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলাটিতে বাদি দন্ডবিধির ৫০০ ধারার বিধান মোতাবেক গয়েশ্বর রায়ের শাস্তি প্রার্থনা করেছেন।
Discussion about this post