মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোনার মো. ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে আনীত মামলার রায় মঙ্গলবার দেয়া হবে।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে রায় ঘোষণার এই তারিখ সোমবার ধার্য করে। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।এর আগে গত ১০ জানুয়ারি মামলাটির উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএিভি) রাখা হয়। এর আগে দুই ট্রাইব্যুনালে মোট ২১টি রায় ঘোষণা করা হয়।মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবাহান তরফদার ও গাজী এম এইচ তামিম।পরে মামলার প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, মামলার অভিযোগ প্রমাণে প্রসিকিউশন সক্ষম হয়েছে। প্রসিকিউটর বাদল দুই আসামির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সাজা সর্বোচ্চ মৃত্যুদন্ড প্রত্যাশা করেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ দাবি করেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি প্রসিকিউশন। তাই এসব অভিযোগ থেকে আসামীরা অব্যাহতি পাবেন বলে তাদের প্রত্যাশা ।গত বছরের ২ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ৫ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য পেশ ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়। মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামিপক্ষ কোন সাক্ষি হাজির করতে পারেননি।মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। এ দুজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি সুনির্দিষ্ট ঘটনায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুট। এ দুই আসামির বিরুদ্ধে ১৫ জনকে হত্যা, প্রায় ৫’শ এর মতো বাড়ীঘর লুট ও অগ্নিসংযোগে সাক্ষ্য-প্রমাণ পেশ করেছে প্রসিকিউশন।আসামি রাজাকার ওবায়দুল হকের বাড়ী নেত্রকোনার আটপাড়ায় ও আতাউর রহমানের বাড়ী কেন্দুয়া এলাকায়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট নেত্রকোনা পুলিশ এ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে।
Discussion about this post