খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ছে। এই ভাতা ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সোমবার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা পুনঃনির্ধারণ বিষয়ক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭ বীরশ্রেষ্ঠ’র প্রত্যেকের পরিবার আগে ভাতা পেতো ১২ হাজার টাকা করে, বর্তমানে ৩০ হাজার টাকা হারে সুপারিশ করা হয়েছে। ৬৮জন বীরবিক্রমের প্রত্যেকে ভাতা পেতেন ১০ হাজার টাকা করে, সুপারিশ করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা করে। ১৭৮ জন বীর-উত্তমের প্রত্যেকে ভাতা পেতেন ৮ হাজার টাকা করে, সুপারিশ করা হয়েছে ২০ হাজার করে। ৪২৬জন বীরপ্রতীকের প্রত্যেকে ভাতা পেতেন ৬ হাজার টাকা করে, তাদের প্রত্যেকের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা করে।
এছাড়া, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘ডি’— এই চার শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এই চার শ্রেণিতে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যার সাড়ে বারো হাজার। যুদ্ধাহত ‘এ’ শ্রেণির জন্য প্রস্তাব ৪৫ হাজার, ‘বি’ শ্রেণির জন্য ৩৫ হাজার, ‘সি’ শ্রেণির জন্য ৩০ হাজার এবং ‘ডি’ শ্রেণির জন্য ২৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে, এ ক্ষেত্রে কেউ একইসঙ্গে খেতাবপ্রাপ্ত ও আহত যুদ্ধাহত হলে, যে ভাতার পরিমাণ বেশি, তিনি সেই পরিমাণ ভাতা পাবেন। কোনোভাবেই খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহ্ত—এই উভয় সুবিধা তিনি পাবেন না।
উল্লেখ্য, এই ভাতা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বিতীয় প্রজন্ম (ছেলে-মেয়ে) পাবেন। দ্বিতীয় প্রজন্ম (নাতি-নাতনিরা) এই সুবিধা পাবেন না। এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন যখনই জারি করা হোক, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই ভাতা কার্যকর করা হবে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
Discussion about this post