একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়ন সদস্যদের নিয়ে গঠিত বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার নির্দেশ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। রোববার রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। একই সঙ্গে ৩০ অক্টোবর এ বিষয়ে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছেন তিনি।রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। অন্যদিকে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের নির্দেশ দেন বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান ও যথাযথ সম্মান প্রদানের নির্দেশও দেন আদালত। হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ এই স্থগিতাদেশ আসল।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। তবে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ওই প্রজ্ঞাপনকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করে মন্ত্রণালয় আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই নতুন প্রজ্ঞাপন জারির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার পঙ্কজ ভট্টাচার্য ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট নতুন প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করে রুল জারি করেন। রুলে নতুন প্রজ্ঞাপনটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সরকার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সেই রুলের ওপর শুনানি শেষে ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দানের নির্দেশ দেন।
Discussion about this post