মহান মুক্তিযুদ্ধের চরমপত্রখ্যাত এমআর আখতার মুকুল, চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্ত, কণ্ঠশিল্পী ফকির আলমগীর ও তিমির নন্দীসহ ৫৮ জন সাংস্কৃতিক কর্মীকে (শব্দ সৈনিক) মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ১২ মার্চ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৪৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ-কালের মধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্ত এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আজ-কালের মধ্যেই সাংস্কৃতিক কর্মীদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এমআর আখতার মুকুল, চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্ত, কণ্ঠশিল্পী ফকির আলমগীর ও তিমির নন্দীসহ স্বীকৃতি পেতে যাওয়া ৫৮ জন সাংস্কৃতিক কর্মী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এবং মুক্তিযুদ্ধকালে গঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠনের হয়ে কাজ করেন।
স্বীকৃতি পেতে যাওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- নাট্যশিল্পী জহুরুল হক, মুশতারি শফি, খন্দকার রাজু আহমেদ, কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন মাহজাবিন বেগম (কুইন), পরিতোষ কুমার সাহা, আজহারুল ইসলাম, আবু নওশের, সারোয়ার জাহান, রেজওয়ানুল হক (মৃত), হযরত আলী বয়াতি (মৃত), মঞ্জুশ্রি নিয়োগী, মৃণাল ভট্টাচার্য্য, প্রবাল চৌধুরি (মৃত), উমা খান, কল্যাণী ঘোষ, সুজিত রায়, গীতশ্রী চৌধুরি, এমকে কে সিদ্দিক, মোজাম্মেল হক, সাজেদা খাতুন, আমিরুল ইসলাম প্রধান, আবুল কালাম আজাদ, মোশাররফ হোসেন মশু, ধীরেন্দ্রনাথ নমদাস, শমসের আলী প্রধান (মৃত), মালা খুররম, শিবু রায়, শুক্লা ভদ্র, এনামুল হক, চিত্তরঞ্জন ভুইয়া, ফিরোজা চৌধুরি, যন্ত্রশিল্পী সুবল দত্ত (মৃত), মিলন ভট্টাচার্য্য, টেকিনিশিয়ান আমিনুল রহমান, অনুলিপিকার একরামুল হক চৌধুরি, মহিউদ্দিন আহমেদ, রেকর্ডিং সুপারভাইজার এএম শফিউর রহমান দুলু, অনুষ্ঠান সংগঠক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, মো. নজরুল ইসলাম (অনু ইসলাম), আ ম শারফুজ্জামান প্রমুখ।