আজ ৯ ডিসেম্বর, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয় সাঁথিয়া উপজেলা। বিজয়ের পতাকা হাতে নিয়ে এদিন বিজয় উল্লাস করেন মুক্তিযোদ্ধারা। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধে স্থানীয় আলবদর, রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী সাঁথিয়ার বিভিন্নস্থানে মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, পাকসেনারা ১৯ এপ্রিল সাঁথিযার ডাববাগান (পরে শহীদ নগর), ১৪ মে ধুলাউড়ির বাউশগাড়ি গ্রাম, ২৭ নভেম্বর ধুলাউড়ি ফকিরবাড়িতে ব্যাপক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
ডিসেম্বরের ৭ তারিখে মুক্তিযোদ্ধারা সাঁথিয়া প্রবেশের তিনটি ব্রিজ ও কালভার্ট বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়। যাতে পাক সেনারা গাড়িবহর নিয়ে সাঁথিয়ায় প্রবেশ করতে না পারে। মুক্তিযোদ্ধারা ব্রিজের নিচে বাঙ্কার তৈরি করে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক আক্রমণে পাক সেনারা ক্ষতিগ্রস্থ দুটি গাড়ি ফেলে পিছু হটে যান ।
পরদিন ৮ ডিসেম্বর সাঁথিয়া ঢোকার পথে আবারো মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে বিকেলের দিকে পিছু হটে পাক সেনারা। পরদিন ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সাঁথিয়া দখলে নেয়। ওই দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে সাঁথিয়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। যে কারণে ৯ ডিসেম্বরের পরে পাক সেনারা আর সাঁথিয়ায় ঢুকতে পারেনি। আর এ জন্যই সাঁথিয়াবাসী ৯ ডিসেম্বর সাঁথিয়া মুক্ত দিবস পালন করে থাকেন। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সাঁথিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।