দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫: নতুন প্রজন্মেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস নেই এমন অনেকে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমাদের দেশে নতুন প্রজন্মের মধ্যে নতুন নতুন যুদ্ধাপরাধী সৃষ্টি হচ্ছে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।কোনো দিন মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করতে চায় না। মহান মুক্তিযুদ্ধকে গণ্ডগোলের মাস বলে তারা অপপ্রচার চালায়। দুঃখ হলেও সত্য এ অপপ্রচার অনেকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে। রোববার বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে সামনে রেখে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সৈয়দ আশরাফ।
বাংলাদেশ যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজকেও সেই ধারা অব্যাহত আছে। নতুন নতুন যুদ্ধাপরাধী সৃষ্টি হচ্ছে।বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকে সাংঘাতিক ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, এ দেশ যেন নিজের পায়ে না দাঁড়াতে পারে, এ জন্য তারা বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আর কয়েক দিন সময় পেলে সকল বুদ্ধিজীবীকে নিঃশেষ করে দিত। দুঃখের বিষয় আজকেও সেই ধারা অব্যাহত আছে। নতুন নতুন যুদ্ধাপরাধী সৃষ্টি হচ্ছে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। কোনো দিন মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করতে চায় না। মহান মুক্তিযুদ্ধকে বলে গন্ডগোলের মাস। এইভাবে তারা অপপ্রচার চালায়। দুঃখের বিষয় অনেকে এই অপপ্রচার বিশ্বাস করে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাধীনতার চেতনা যেন ভুলে না যাই। তাহলে আমাদের মধ্যেও ক্ষয় হবে। বিশ্বাসের ক্ষয় হবে। সুতরাং আমাদের স্মৃতিতে যদি মুক্তিযুদ্ধ না থাকে, যুদ্ধাপরাধীরা যে হত্যা করেছে তা না থাকে, তাহলে বাংলাদেশ পৃথিবীতে স্বাধীন রাষ্ট্র হয়েছে হয়তো আর থাকবে না।ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আপনারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আপনারাই একদিন এই দলের নেতৃত্ব দেবেন, এই দেশ পরিচালনা করবেন। বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের ঘাড়ে এসেই পড়েছে। আশা করি, বাংলাদেশের নেতৃত্ব আপনারই গ্রহণ করবেন। সেই মেধা ও দক্ষতা আপনাদের আছে। আশরাফ বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা সাংঘাতিক ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ দেশ যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে, এ জন্য তারা বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আর কয়েক দিন সময় পেলে সকল বুদ্ধিজীবীদের নিঃশেষ করে দিত। দুঃখের বিষয় আজকেও এই ধারা সেটা অব্যাহত আছে।ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আপনারাই একদিন এই দলের নেতৃত্ব দেবেন। দেশ পরিচালনা করবেন। বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের ঘাড়ে এসেই পড়েছে। বাংলাদেশের নেতৃত্ব আপনারই গ্রহণ করবেন। সেই মেধা ও দক্ষতা আপনাদের আছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘শুধু স্লোগান নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে হবে। তাঁকে জানতে হবে, বুঝতে হবে। যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন, ছাত্রলীগকে ভালোবাসেন। তারা কখনো অন্যায় করতে পারে না। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বারবার অশ্র“সিক্ত হচ্ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নূজহাত চৌধুরী। তাঁর বক্তব্যের সময় পুরো অনুষ্ঠানে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছিল। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বোন হিসেবে বলছি—তোমরা আদর্শের চর্চা কর। যদি তোমাদের কাছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু কিংবা কোনো নারী নিরাপদ না হয়, ঘুষখোর আমলা হও, অত্যাচারী পুলিশ হও, হলুদ সাংবাদিকতা কর, তাহলে তুমি ছাত্রলিগার হতে পার না।’ ভবিষ্যতে ছাত্রলীগের মধ্যে নতুন নতুন বুদ্ধিজীবী দেখতে চান বলেও তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন ডা. নূজহাত।
Discussion about this post